একজন দক্ষ প্রশিক্ষক হবেন যেভাবে || How to be an expert trainer.

একজন দক্ষ প্রশিক্ষক হবেন যেভাবে। সম্মানীত ভিজিটর, সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র সমৃদ্ধ এ বাংলা ব্লগ সাইটে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনুগ্রহপূর্বক, পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমার এই অলগেজেটস ডট কম সাইটে নতুন এসে থাকেন; তাহলে, সাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত নতুন পোষ্টের আপডেট পেতে-প্লিজ, সাইটের “ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে সাইটটির
সঙ্গেই থাকুন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি “ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।

পাঠক, আপনাদের সকলের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এ ব্লগে আয়োজন করেছি-প্রাথমিক শিক্ষার অফিস আদেশ ও পত্র, প্রাথমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন, মাধ্যমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, উচ্চ শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রজ্ঞাপন ও পত্র, পাঠ্য বইয়ের ই-সংষ্করণ, ধর্মীয় ই-বুকসমূহ, আইন ও বিধিমালার ই-বুকসমূহ, জাতীয় পরিচয় পত্র বিষয়ক প্রজ্ঞাপন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও পত্র, জাতীয় বেতন স্কেলসমূহ, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার প্রজ্ঞাপন ও পত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি গুরূত্বপূর্ণ গেজেট, পরিপত্র ও পত্রাদি। এবার আসা যাক, আজকের পোষ্টের কথায়।

--------------------------------------------------

আরও দেখুন-

একজন প্রশিক্ষক  যেভাবে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ব্যবহার করবেন

--------------------------------------------------

একজন দক্ষ প্রশিক্ষক হবেন যেভাবে।

প্রশিক্ষণ একজন পেশাজীবিকে দক্ষ করে তোলে। নিজের যোগ্যতাকে শানিত করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ভালো প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষ প্রশিক্ষকের। একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের কিছু কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। অন্যভাবে বলতে গেলে বলতে হয়- একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের মাঝে কতিপয় গুণাবলী থাকতে হয়। একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ শুরুর পূর্বে, প্রশিক্ষণের সময় এবং প্রশিক্ষণ শেষে যা করণীয়, তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

প্রশিক্ষণ শুরুর পূর্বে প্রশিক্ষকের করণীয়:

১। অধিবেশন শুরুর পূর্বে ম্যানুয়ালটি ভালভাবে পড়তে হবে এবং প্রতিটি অধিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নোট করে নিতে হবে, যাতে করে যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেয়া যায়। পূর্ব প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন, বিষয়বস্তু উপস্থাপনে জড়তা না থাকে।

২। উপকরণ সামগ্রী তৈরি এবং অধিবেশনের ক্রমানুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে।

 যেমন:-

(১) প্রতিদিনের কর্মসূচি। 

(২) ঐ দিনের অধিবেশনসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় চার্ট, ফটোকপি ও অন্যান্য উপকরণ।

      

(৩) দল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।

৩। বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর উপকরণ প্রয়োজন হবে। সুতরাং অধিবেশন অনুসারে উপকরণের তালিকা তৈরি করে তা সংগ্রহ করতে হবে।

৪। প্রশিক্ষণ আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় চেকলিস্ট এবং নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে:-

(১) আসন বিন্যাস।

 (২)ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, ডিসপ্লে বোর্ড, হোয়াইট বোর্ড, ফ্লিপচার্ট ষ্ট্যান্ড।

 (৩)প্রয়োজনীয় চার্ট, কার্ড, পোস্টার পেপার, মার্কার পেনসহ অন্যান্য সামগ্রী।

 (৪) প্রি এবং পোস্ট টেস্টের জন্য প্রশ্নপত্রের ফটোকপি ইত্যাদি।

৫। বিজ্ঞান প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে সে জন্য পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন: যে উপকরণ ব্যবহার করতে হবে সেই উপকরণ সংগ্রহ করে পরিকল্পিত পরীক্ষণটি করে দেখতে হবে- উপকরণগুলো যথাযথ আছে কিনা। এছাড়া পূর্বেই পরীক্ষা করে খুঁটিনাটি কোন সমস্যা থাকলে তা দূর করে নিতে হবে।

৬! ম্যানুয়ালের সাপ্লিমেন্টারী কোন বই থাকলে তা সংগ্রহ করতে হবে। প্রশিক্ষণের সময় বইগুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে।

৭। প্রশিক্ষণ কক্ষের বাইরে প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে গেলে পূর্বেই স্থানটি নির্বাচন করবেন। প্রত্যাশিত সামগ্রী ও পরিবেশ সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে থাকবেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন।

প্রশিক্ষণের সময় প্রশিক্ষকের করণীয়:

 (১) ম্যানুয়ালের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

 (২) সময়ের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কোন অবস্থাতেই যেন অধিবেশনের এবং কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। দুই জন প্রশিক্ষক সময়ের ব্যাপারে একে অপরকে সচেতন করে দিবেন।

 (৩) প্রশিক্ষণের সময় প্রদত্ত বক্তব্য সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিষয়ানুগ হতে হবে। এ বিষয়টি প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণার্থী, উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোন একটা বিষয়ে অযথা আলোচনা এড়াতে হবে। 

 (৪) প্রশিক্ষণে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের বিদ্যমান ধারণা/জ্ঞানকে কোন বিষয়বস্তু আলোচনার সময় কাজে লাগাতে হবে।

 (৫) নিজেকে প্রশিক্ষণার্থীদের সহায়ক মনে করতে হবে।

 (৬) দল গঠনে আকর্ষণীয় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। 

 (৭) সর্বদা হাসি-খুশি থাকতে হবে। 

 (৮) কথা বলা, হাঁটা-চলা এবং উপস্থাপনে মার্জিত শারীরিক ভাষা প্রয়োগ করতে হবে।

 (৯) প্রশিক্ষণার্থীদের শ্রবণযেগ্য স্বরে এবং শুদ্ধ উচ্চারণে চলিত রীতিতে কথা বলতে হবে। 

 (১০) যাবতীয় উপস্থাপন পদ্ধতি ও কৌশলে অংশগ্রহণকারীদের সাথে দৃষ্টি সংযোগ বজায় রাখতে হবে।

 (১১) প্রি টেস্ট ও পোস্ট টেস্ট যথাযথভাবে গ্রহণ করতে হবে।

 প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষকের করণীয়:

 (১) প্রশিক্ষণকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। 

 (২) পরবর্তী দিনের জন্য আসন বিন্যাস করতে হবে।

 (৩) প্রয়োজনীয় সামগ্রী সাজিয়ে রাখতে হবে। 

 (৪) প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল অনুযায়ী পরবর্তী দিনের জন্য উপকরণাদি প্রস্তুত ও সংগ্রহ করতে হবে।

Facilitator guidelines:

Here some tips to help the facilitators get the best from the participants and their time in the sessions.

 Give clear instructions:

 Give clear instructions in English if you can. Check your instructions. There are many ways of doing this. You can repeat the instructions clearly. If this is not effective, then you will need to make the language of the instructions simpler. Translation is also an effective way of checking instructions. A quick way of involving trainees in this process is to ask them to tell you orally what the instructions are and what they are supposed to do. Demonstration is another excellent way of checking instructions. This is very effective because it does not depend on an understanding of language.

Finish activities promptly:

 It can waste a lot of time to wait until every single participant/pair/group has finished an activity in their own time. When the majority have finished, tell the remaining participant/pair/group they must finish. Allow a few more seconds and then stop the activity.

Include everybody:

 Don't let the strong participants dominate the sessions. Make sure weaker participants are following the session, and don't get left behind. Be sure to include everybody, including the participants who seem less interested in the session.

Avoid pointless repetition:

 Avoid going slowly around the session getting participants to take it in turn to do the same thing, such as answering the same question, as this can be a waste of time. It is often more efficient to get participant to do thus type of activity in pairs instead.

If the class is moving slowly, find out why:

 Different activity can take different amounts of time to get through the same material. If your session is moving too slowly, try to identify the types of activity which are taking too long. Why are they taking too long? Do the participants need more help and support?

Trainees sit in different places:

 Discourage participants from always sitting in the same place in the room and always working with the same pair-work partners. Participants will increase their confidence more if they work with a variety of partners. It also helps ensure that weaker participants get the chance to benefit from working with stronger ones.

Feedback technique:

 Provide feedback in plenary discussion in a positive way. Point out the strength point and then the developing area. Ask the participants to express their opinions and motivate them to use the discussed techniques and methodology in their classroom practices.

Journal keeping:

Read the journals and point out the developing areas that need to be addressed and discussed in the session and change your mode of delivery if required. Distribute the journal with positive comments.

Reading practice:

Provide opportunity to read and discuss in pair, group and individually. In case of pair reading, allow the pairs to read alternately and in group, every one to read a part of supplied reading materials one after another and to discuss after every one's reading.

পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের “ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে

শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।