Dear visitor, welcome to educational blog. Hope, see you again- thank you.

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম শ্রেণির শিক্ষক ডায়েরি | পিডিএফ ও ওয়ার্ড ফাইল - সকল গেজেট এক ঠিকানায়

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম শ্রেণির শিক্ষক ডায়েরি | পিডিএফ ও ওয়ার্ড ফাইল

 ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম শ্রেণির শিক্ষক ডায়েরি | পিডিএফ ও ওয়ার্ড ফাইল


২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম শ্রেণির শিক্ষক ডায়েরি | পিডিএফ ও ওয়ার্ড ফাইল


প্রথম শ্রেণিতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সামষ্টিক মূল্যায়ন বা কোনো আনুষ্ঠানিক লিখিত পরীক্ষা নেয়া যাবেনা। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক শিখন অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষক শিখন-শেখানো কার্যক্রমের শুরুতে, কার্যক্রম চলাকালীন বা পাঠ শেষে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করবেন।

২. প্রথম শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকার (Teacher's Guide) শেষে ধারবাহিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংযুক্ত রয়েছে। উক্ত নির্দেশিকায় ধারাবাহিক মূল্যায়ন কৌশল ও রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য শিক্ষক ডায়েরি-১, শিক্ষক ডায়েরি-২ এর ব্যবহার এবং শিখন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রস্তুতের পদ্ধতি বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। শিক্ষক সংশ্লিষ্ট মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে ডায়েরি-১ ও ডায়েরি-২ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর ওয়েবসাইটে প্রথম শ্রেণির সকল বিষয়ের শিক্ষক ডায়েরি-১ ও ডায়েরি-২ এর এমএস ওয়ার্ড ও পিডিএফ কপিসহ উক্ত নির্দেশিকাটি আপলোড করা আছে। ওয়েব সাইট থেকে সফট কপি ডাউন লোড করে তাতে প্রথম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর রোল ও নাম কম্পোজ করে প্রিন্ট করে নেবেন। কম্পোজ করা সম্ভব না হলে স্পষ্ট অক্ষরে হাতে লিখে নিতে হবে।

৩. প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুসারে প্রতিটি বিষয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পৃষ্ঠা প্রিন্ট/ফটোকপি করে নেবেন। এক্ষেত্রে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যার চেয়ে নীচে আরো ৫/১০টি খালি সারি করে নেবেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে আরো নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে। প্রধান শিক্ষক/সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সারা বছরের জন্য অথবা ১ম, ২য় ও ৩য় প্রান্তিকের জন্য শিক্ষক ডায়েরি-১ ও ডায়েরি-২ আলাদা আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং পরবর্তীতে বাধাই করে নেবেন।

৪. প্রথম শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের জন্য (যথা: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান ও প্রাথমিক বিজ্ঞান সমন্বিত, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিস্ট ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং শিল্পকলা) শিক্ষক ডায়েরি-১ ও শিক্ষক ডায়েরি-২ প্রস্তুত করতে হবে।

৫. শ্রেণি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও ফলাবর্তন প্রদানের জন্য ডায়েরি-১ এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ/অধ্যায়/ইউনিটভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা অর্জনের বিবরণীর জন্য ডায়েরি-২ ব্যবহার করতে হবে৷ শিক্ষক ডায়েরি-১ এর সংরক্ষিত তথ্য বা মানসমূহ প্রতিটি পাঠ/অধ্যায়/ইউনিট শেষে শিক্ষক ডায়েরি-২ এ লিপিবদ্ধ করতে হবে। এই কাজ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ সুবিধাজনক সময়ে করবেন।

 

৬. শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন একটি পাঠে করতে না পারলে পরবর্তী পাঠের সময়ে অবশিষ্টদের মূল্যায়ন করতে পারবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতিপাঠে কোনো শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করতে না পারলেও একটি যোগ্যতার অধীন কোনো একটি পাঠে, না হলে ঐ অধ্যায়ের পাঠদান কালে অন্তত একবার হলেও মূল্যায়ন করতে হবে। একটি অর্জন উপযোগী যোগ্যতার অথবা অধ্যায়ের পাঠদান কালে শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন একবার হলেও মূল্যায়নের আওতায় আসে তানিশ্চিত করতে হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীরা যাতে মূল্যায়ন থেকে বাদ না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ৭. শিক্ষক সহায়িকাতে প্রতিটি পাঠ/পিরিয়ড/সেশন শেষে ছকের সাহায্যে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ সম্পর্কিত মূল্যায়ন নির্দেশকসমূহ বা Assessment Indicators চিহ্নিত করা আছে। উল্লেখ্য, যে পাঠে/অধ্যয়ে/ইউনিটে যতগুলো পিরিয়ড বা ক্লাস আছে ঠিক ততগুলো মূল্যায়ন নির্দেশক রয়েছে। তবে ১ম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের যে পাঠে শিখনফল নেই (যেমন- পাঠ ২, ৫, ৭) সেই পাঠে কোনো মূল্যায়ন নির্দেশক নেই কারণ মূল্যায়ন নির্দেশকের মানদণ্ডগুলো মূলত শিখনফলের আলোকে লেখা হয়েছে।

৮. শিক্ষার্থীর শিখনফল অর্জনের নির্ধারিত মান হলো: পারেনি (০), আংশিক পেরেছে (১), পেরেছে (২)। তবে কোনো শিক্ষার্থী ‘শূণ্য পেলে তাকে ফলাবর্তনের মাধ্যমে কমপক্ষে ‘আংশিক পেরেছে' পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। প্রান্তিক শেষে শিক্ষার্থীর বিষয়ভিত্তিক অর্জনউপজোগী যোগ্যতা অর্জনের নির্ধারিত নম্বর/মান হলো: ০-৩৯% (সহায়তা দরকার), নম্বর/মান ৪০-৫৯% (সন্তোষজনক), নম্বর/মান ৬০-৭৯% (ভালো), নম্বর/ মান ৮০-১০০% (উত্তম)।

৯. শিক্ষক ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ফলাবর্তন প্রদান করবেন। উপস্থাপিত পাঠটি শেষ হলে বা শিক্ষকের সুবিধামত সময়ে ফলাবর্তনের তথ্য ( জ্ঞান / Knowledge এর ক্ষেত্রে-K, দক্ষতা/Skill এর ক্ষেত্রে-S, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ/ AttitudeandValues এর ক্ষেত্রে-A) শিক্ষক ডায়েরি-১ এ লিপিবদ্ধ করতে হবে। শিক্ষক ‘পারেনি' শিক্ষার্থীদের শিখনফল অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ফলাবর্তন প্রদান করবেন ।

১০. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন এবং শিখন দুর্বলতা নিরাময়ের জন্য ফলাবর্তন প্রদানে শিক্ষক বিশেষ যত্নবান হবেন।

১১. ফলাবর্তন ও শিখনফল অর্জনের মান শিক্ষক ডায়েরি-১ এ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রথমে পেন্সিল দিয়ে লেখা সমীচীন। কারণ যে সকল শিক্ষার্থী ১ এবং ০ পাবে তাদের ফলাবর্তন প্রদানপূর্বক পরবর্তী শিখন অগ্রগতির মান অর্থাৎ ১ কে ২ এবং ০ কে ১ বা ২ এ উন্নীত করতে হবে। এক্ষেত্রে পেন্সিল দিয়ে লেখা হলে সেটি মুছে আবার সহজে লেখা যাবে। এখানে উল্লেখ্য যে, শিক্ষক সহায়িকাতে পূর্ব পাঠের আলোচনা ও পুনরালোচনা ক্লাসের সুযোগ রাখার কারণে ফলাবর্তন প্রদানেরও পর্যাপ্ত সুযোগ শিক্ষকের রয়েছে।

১২. উল্লেখ্য, পাঠের শেষের দিকের পিরিয়ডের মূল্যায়ন নির্দেশক পূরণ করতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে প্রথম দিকের পিরিয়ডের মূল্যায়নের মাধ্যমে শিখনফল অর্জন করে ফেলেছে। এক্ষেত্রে শিক্ষক ডায়েরি-১ এ পূর্বে পেন্সিল দিয়ে লেখা উক্ত শিক্ষার্থীদের স্কোর/তথ্যটি সংশোধন করতে হবে। সে অনুযায়ী ধারাবাহিক মূল্যায়নে শিক্ষক শিক্ষার্থীর সর্বশেষ ফলাফল সংরক্ষণ করবেন এবং তা নির্দিষ্ট পাঠ শেষে শিক্ষক ডায়েরি-২ এ লিপিবদ্ধ করবেন।

১৩. ধারাবাহিক মূল্যায়ন কার্যক্রম সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে শিক্ষক ও একাডেমিক সুপারভাইজারদের আবশ্যকীয় শিখনক্রম, শ্রেণিভিত্তিক অর্জন উপযোগী যোগ্যতা, শিক্ষক সহায়িকায় বর্ণিত পাঠ বিভাজন ও পাঠ পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা, মূল্যায়ন নিদের্শকের (জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ) ধারণা এবং মূল্যায়ন রেকর্ড টুলস (শিক্ষক ডায়েরি-১, শিক্ষক ডায়েরি-২ ও প্রান্তিকভিত্তিক শিখন অগ্রগতি রিপোর্ট কার্ড) সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়গুলো নিয়ে সহকর্মী, সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

১৪. প্রতি প্রান্তিক শেষে প্রধান শিক্ষক/সংশ্লিষ্ট শিক্ষক প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন (রিপোর্ট কার্ড) তৈরি করবেন। অগ্রগতি প্রতিবেদনের নমুনা শিক্ষক সহায়িকার মূল্যায়ন নির্দেশিকার শেষে দেয়া আছে। প্রদত্ত নমুনা অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য অগ্রগতির প্রতিবেদন (রির্পোট কার্ড) কপি/প্রিন্ট করে নেবেন। শিক্ষকবৃন্দ এই রিপোর্ট কার্ডে কোনো নম্বর/মান বা গ্রেড উল্লেখ করবেন না। মূল্যায়ন নির্দেশিকায় বর্ণিত অবস্থান নির্দেশক মন্তব্য যথা উত্তম/ভালো/সন্তোষজনক বা সহায়তা প্রয়োজন লিখবেন এবং শিক্ষার্থী/অভিভাবককে প্রদান করবেন।

 --------------------------

আরও দেখুন-

জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ তথ্যপত্র-২০২১ এখানে।

 ------------------------

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম শ্রেণির শিক্ষক ডায়েরির পিডিএফ ও ওয়ার্ড ফাইল ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে

 

পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে  লাইক দিয়ে রাখুন

 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে

শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 

কোন মন্তব্য নেই

pollux থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.