Dear visitor, welcome to educational blog. Hope, see you again- thank you.

ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন || EFT Form fill up systems. - সকল গেজেট এক ঠিকানায়

ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন || EFT Form fill up systems.

ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন || EFT Form fill up systems.

 

 ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন।

Electronic Funds Transfer (EFT). নতুন ইএফটি ফরমে পাতা আছে চারটি। সবকটিই পূরন করতে হবে। ইএফটি ফরমে তিনটি সার্ভার থেকে কিছু তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অটো) চলে আসবে। এগুলো হলো-ক. এনআইডি সার্ভার থেকে, খ. পে-ফিক্সেশন থেকে, গ. বাংলাদেশ ব্যাংক সার্ভার থেকে।

আজকের এ পোস্ট থেকে আমরা জানবো কিভাবে সঠিকরূপে ইএফটি ফরম পূরন করা যায়। প্রথমেই আমরা নতুন ইএফটি ফরম দেখবো। তারপর সেটি পূরন করা সম্পর্কে কিছু পরামর্শ জানবো এবং সবশেষে এ ব্লগের সম্মানিত পাঠকদের জন্য ফরমের ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল আপলোডের লিঙ্ক জানাবো-ইনশাআল্লাহ।

 ডিপিই থেকে সংগৃহীত নতুন ফরম-




 

 

 

ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন || EFT Form fill up systems.




ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন || EFT Form fill up systems.

ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন || EFT Form fill up systems.

ইএফটি ফরম যেভাবে পূরন করবেন || EFT Form fill up systems.

 সঠিকরূপে ফরম পূরনের কিছু পরামর্শ ও পদ্ধতি-

 

১। নতুন ইএফটি ফরমে পাতা আছে চারটি। সবকটিই পূরন করতে হবে। ইএফটি ফরমে তিনটি সার্ভার থেকে কিছু তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অটো) চলে আসবে। এগুলো হলো-

ক. এনআইডি সার্ভার থেকে

খ. পে-ফিক্সেশন থেকে

গ. বাংলাদেশ ব্যাংক সার্ভার থেকে

বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বেতনের অংশ এবং ব্যাংক হিসাব নম্বরের বিপরীতে কিছু তথ্য উক্ত তিনটি সার্ভার থেকে আসবে। তাই এই তিনটি অংশ কোনক্রমেই ভুল করা যাবে না।

২। পুরো ফর্মের ৬ (ছয়)টি জায়গায় বাংলায় নাম লিখতে হবে। বাকিগুলো ইংরেজিতে লেখাই ভালো হবে। এতে করে ডাটা এন্ট্রি যারা করবেন তাদের জন্য সুবিধা হবে। ইংরেজিতে নাম লেখার সময় Capital Letter ব্যবহার করলে ভালো হয়।

ফরমের যে সমস্ত জায়গায় বাংলায় নাম লিখতে হবে-

ক. ১.০ প্রাথমিক তথ্যাদির * কর্মচারীর নাম

খ. ২.২ পারিবারিক তথ্যাদির ২.২.১ এ স্বামী/স্ত্রী সম্পর্কিত তথ্যাদির ৩ (তিন) নম্বর কলামে।

গ. ২.২.২ এর সন্তান সম্পর্কিত তথ্যাদির ৫ (পাঁচ) নম্বর কলামে। (যাদের প্রয়োজন তারা লিখবেন।)

ঘ. ২.২.৩ প্রতিবন্ধি সন্তান সম্পর্কিত তথ্যাদির ৪ (চার) নম্বর কলামে (যাদের প্রয়োজন। তারা লিখবেন।)

ঙ. ৫.২ জিপিএফ নমিনি সংক্রান্ত তথ্যাদির ৪ (চার) নম্বর কলামে

চ. ৯.০ চাকুরিজীবির অবর্তমানে পেনশন প্রাপ্তির উত্তরাধিকারী মনোনয়ন অংশের ৪ (চার) নম্বর কলামে।

৩। ১.০ প্রাথমিক তথ্যাদির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এর ক্ষেত্রে পে-ফিক্সেশনে ব্যবহৃত নম্বরটি দিতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন আইডি কিংবা পুরাতন আইডি ধরা যাবে না। কারণ পুরাতন আইডিতে ডিজিট আছে ১৭টি। নতুন আইডি কিংবা স্মার্ট কার্ডে ডিজিট আছে ১০টি। এ বছরের পে-ফিক্সেশনের কপি নিয়ে দেখতে হবে কোন আইডি নম্বর ব্যবহৃত হয়েছে। যে আইডি নম্বর ব্যবহৃত হয়েছে সেটাই দিতে হবে। কারণ আইডি নম্বরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু তথ্য EFT টিতে চলে আসবে।

৪। ১.০ প্রাথমিক তথ্যাদির সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের ধরন অংশে চারটি অপশন আছে। চার নম্বর অপশন- উন্নয়ন প্রকল্প হতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর। এই অংশটির জন্য সবচেয়ে ভালো হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা। কারণ এ অংশের অন্তর্ভূক্ত কারা তা উপজেলা শিক্ষা অফিস ভালো বলতে পারবে।

৫। ২.০ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও ব্যাংক একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদির ২.১ এ মোবাইল ফোন নম্বর অংশে পে-ফিক্সেশনের নম্বর দিতে হবে এমন কোন কথা ট্রেনিং এ বলে নাই। কারণ সফটওয়ারে মোবাইল নম্বরটি টাইপ করে দিতে হবে। মূলত মোবাইল নম্বর চাওয়া হচ্ছে ব্যাংক হিসেবে সরাসরি অর্থ প্রেরণের তথ্য এসএমএস এর মাধ্যমে জানানোর জন্য মোবাইল নম্বর প্রয়োজন- এটাই প্রথম পৃষ্ঠার শেষে উল্লেখ আছে। কারণ এই মোবাইল নম্বরে ব্যাংক হিসেবের তথ্য আসবে। তবে পে-ফিক্সেশনের মোবাইল নম্বরও দেওয়া যাবে।

৬। ২.২.২ সন্তান সম্পর্কিত তথ্যে সব সন্তানের তথ্য দিতে হবে। কিন্তু শিক্ষা ভাতা পাবে মাত্র দুই জন। সন্তানের বয়স ৫ থেকে ২৩ বছর পর‌্যন্ত। তবে সন্তান বিবাহিত হলে সে শিক্ষাভাতার যোগ্য নয়। সন্তানের তথ্য না দিলে সে শিক্ষাভাতা পাবে না। কারণ সন্তানের শিক্ষাভাতা ফিক্সেশনের সাথে জড়িত। এন্ট্রির সময় পে-ফিক্সেশন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা আসবে। তথ্য না থাকলে বেতন অংশে শিক্ষাভাতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসবে না।

৭। ১.৩ ব্যাংক হিসাব তথ্য অংশে ব্যাংক হিসেবের নাম যেভাবে আছে সেভাবেই লিখতে হবে। কোনক্রমেই এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী লেখা যাবে না। কারণ এই অংশটির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে রক্ষিত। তাই ব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত নাম না দিয়ে এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী নাম দিলে ইএফটি ফেরত আসবে। ধরা যাক কোন ব্যক্তির এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদে নাম আছে রাহুল ইসলাম রাতুল। কিন্তু ব্যাংক হিসেবে আছে রাহুল ইসলাম। এক্ষেত্রে এনআইডি কিংবা শিক্ষা সনদে থাকা রাহুল ইসলাম রাতুল নামটি ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করলে বেতন আসবে না। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে ব্যাংক হিসেবে নাম আছে রাহুল ইসলাম। ব্যাংক হিসাবের ধরনে সঞ্চয়ী (Savings) এ টিক চিহ্ন দিতে হবে।

রাউটিং নম্বরঃ- সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নাম + routing numer লিখে গুগলে সার্চ দিলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের রাউটিং নম্বর পাওয়া যাবে। যেমন- sonali bank routing number লিখে সার্চ দিলে সমগ্র বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার রাউটিং নম্বর পাওয়া যাবে।। সেখান থেকে নির্দিষ্ট ব্যাংক শাখার রাউটিং নম্বরটি নিতে হবে। অথবা চেক বইয়ের পাতায় কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকেও রাউটিং নম্বর জেনে নেওয়া যাবে। মনে রাখতে হবে ব্যাংকের রাউটিং নম্বর ভুল করা যাবে না।

৮। ৩.০ চাকরি সম্পর্কিত তথ্যাদির বর্তমান শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে টিক চিহ্ন দিতে হবে।

৯। ৩.৩ প্রথম যোগদানঃ এখানে প্রথম যোগদানকৃত বিদ্যালয়ের নাম লিখতে হবে এবং ঐ সময় বেতন গ্রেড ও স্কেল কত ছিল তা লিখতে হবে। যা শিক্ষা অফিস থেকে জেনে নেওয়া ভালো।

১০। পদোন্নতি/উচ্চতর স্কেলের তথ্যাদিতে সিইনএড/ডিপিএড/বিএড করলে তা উচ্চতর স্কেল হিসেবে গণ্য হবে এবং সে তথ্য দিতে হবে। সিলেকশন গ্রেড , টাইম স্কেলও এখানে আসবে। পদোন্নতি পেয়ে থাকলে সে তথ্যও দিতে হবে।

১১। ৪.০ বেতন ভাতাদি ও কর্তন সম্পর্কিত তথ্যাদি সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। কারণ এখানকার তথ্য পে-ফিক্সেশন থেকে আসবে। যদি এন্ট্রির সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই অংশের তথ্য না আসে তবে পে-ফিক্সেশনে ভুল থাকতে পারে। যা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে সংশোধন করে নিতে হবে। সন্তানের তথ্য এন্ট্রি না দিলে এই অংশে শিক্ষাভাতা শূন্য দেখাবে। সেক্ষেত্রে ২.২.২ এ সন্তানের তথ্য অবশ্যই দিতে হবে।

১২। ৪.২ কর্তনসমূহ থেকে যাদের জন্য প্রযোজ্য তারাই দিবেন। কল্যাণ কর্তন দেওয়ার দরকার নাই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নিবে। কল্যাণ কর্তন ফরমে উল্লেখও নাই।

১৩। ৫.১ সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (GPF): যাদের করা আছে তারা তথ্য দিবেন। তথ্য নিজের কাছে না থাকলে হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। যাদের নাই তারা NO লিখবেন। এন্ট্রির সময় নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ বসিয়ে No সিলেক্ট করে দিতে হবে। এক্ষেত্রেও শিক্ষা অফিসের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

১৪। ৫.৩ চলমান জিপিএফ অগ্রিমঃ যারা জিপিএফ থেকে লোন নিয়েছেন তারা তথ্য অবশ্যই দিবেন। যারা নেন নাই তারা N/A লিখবেন। এখানে সর্তকতার সাথে কাজ করতে হবে। কারণ লোন নিলে কিস্তি ম্যানুয়ালি অন অফ করা যায়। কিন্তু EFT তে সে সুযোগ থাকবে না। ধরা যাক, কেউ যদি ৬০ কিস্তির জন্য লোন নেয় এবং ৪০ কিস্তি পরিশোধ করে ৫ মাস কিস্তি অফ রাখে। তবে পরের ২০ কিস্তির জন্য পরের মাস থেকে হিসেব ধরে ২০ কিস্তি সিলেক্ট করে দিতে হবে। নতুবা কিস্তি শুরুর তারিখ উল্লেখ করলে অটো কাটতেই থাকবে। কারণ সফটওয়ার বুঝতে পারবে না আগে কিস্তি দেওয়া হয়েছে কি না।

১৫। ৬.০ বর্তমান ঋণ সংক্রান্ত তথ্যাদিঃ

এখানে ৫ (পাঁচ)টি ঘর দেওয়া আছে- গৃহনির্মাণ ঋণ, কম্পিউটার ঋণ, মোটর সাইকেল ঋণ, মোটরকারণ ঋণ এবং বাইকেল ঋণ। এগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে (যে ব্যাংকে বেতন নেওয়া হয়) ঋণ নিলে তার তথ্য দিতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে কনজুমার/ পার্সনাল ঋণ নিলে তা এখানে আসবে কিনা সে সম্পর্কে জানতে শিক্ষা অফিসের দ্বারস্থ হওয়াই উত্তম। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ছাড়া অন্য ব্যাংক বা সংস্থা থেকে ঋণ নিলে তার তথ্য এখানে আসবে না।

১৬। ৭.০ গৃহীত অর্জিত ছুটি/লিয়েন সম্পর্কিত তথ্যাদিঃ

৭.১ অনুমোদিত ছুটিঃ এখানে অর্জিত, প্রসূতি, অধ্যয়ন ছুটি এবং ছুটির উদ্দেশ্য- হজে গমন, বহিঃবাংলাদেশ গমন, শ্রান্তি বিনোদন ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। সার্ভিস বুকে এ সংক্রান্ত তথ্য পাবেন। মাতৃত্ব ছুটির সাথে অনেকের সন্তানের জন্মনিবন্ধনের বয়স মিল না থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সমাধানের জন্য শিক্ষা অফিসের দ্বারস্থ হওয়াই উত্তম।

৭.২ লিয়েন কারো থাকলে দিবেন না থাকলে N/A লিখতে হবে।

১৭। ৪.০ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা (যদি থাকে):

কারো থাকলে দিতে হবে। যা সার্ভিস বুকে আছে।

১৮। ৯.০ চাকুরীজীবির অবর্তমানে পেনশন প্রাপ্তির উত্তরাধিকারী মনোনয়নঃ

নিয়ম অনুসারে স্বামী/স্ত্রীর নাম আসবে। কিন্তু অন্য কাউকে দিতে চাইলে তার শতকরা হার নির্ধারণ করে দিতে হবে। যতজনকে দিবেন ততজনকেই অংশ শতকরা হারে উল্লেখ করতে হবে।

বিশেষভাবে উল্লেখ যে, ফরম স্পষ্ট অক্ষরে লেখার চেষ্টা করতে হবে। অস্পষ্ট ও হাতের লেখা বুঝা না গেলে এন্ট্রি দিতে সমস্যা হতে পারে। তবে EFT ফরম পূরণ করা নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। কারণ তথ্য এন্ট্রির পর প্রত্যেককেই তার প্রুভ কপি দেওয়া হবে। প্রুভ কপিতে তথ্য ঠিক থাকলে তবেই তা Approve হবে। কোন ভুল থাকলে পরে তা পরিবর্তন করা যাবে। তবে ব্যক্তিগত তথ্য, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, ব্যাংক হিসেব এবং বেতনের অংশের তথ্য যেন ভুল না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। নতুবা EFT এন্ট্রি হলেও উপর্যুক্ত তথ্যের ভুলের কারণে বেতন না এসে উল্টো EFT ফেরত আসতে পারে।

[ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত]

 

ইএফটি ফরমের ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল পাবেন এখানে।

--------------------------------------

আরও দেখুন-

ইএফটি কি এবং এটি কি কাজে ব্যবহার হয়।

---------------------------------------

পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের  ফেসবুকপেজে  লাইক দিয়ে রাখুন

 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে

শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই

pollux থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.