Dear visitor, welcome to educational blog. Hope, see you again- thank you.

ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা, ২০১৮ - সকল গেজেট এক ঠিকানায়

ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা, ২০১৮


ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা, ২০১৮ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা, ২০১৮। সম্মানীত ভিজিটর, সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র সমৃদ্ধ এ বাংলা ব্লগ সাইটে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অনুগ্রহপূর্বক, পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখুন।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমার এই অলগেজেটস ডট কম সাইটে নতুন এসে থাকেন; তাহলে, সাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত নতুন পোষ্টের আপডেট পেতে-প্লিজ, সাইটের ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে সাইটটির
সঙ্গেই থাকুন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি “ফেজবুক পেজে” লাইক দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আবারও স্বাগত জানাচ্ছি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রজ্ঞাপন ও চিঠি-পত্র একত্রে, একসঙ্গে পাবার এ পাঠকপ্রিয় বাংলাদেশী বাংলা ব্লগে। আশা করি, পরবর্তীতে আবারও এসে ধন্য করবেন “সকল গেজেট এক ঠিকানায়” শিরোনামের এ বাংলা ব্লগে।





পাঠক, আপনাদের সকলের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এ ব্লগে আয়োজন করেছি-প্রাথমিক শিক্ষার অফিস আদেশ ও পত্র, প্রাথমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন, মাধ্যমিক শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, উচ্চ শিক্ষার প্রজ্ঞাপন ও পত্র, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ ও ম্যানুয়াল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রজ্ঞাপন ও পত্র, পাঠ্য বইয়ের ই-সংষ্করণ, ধর্মীয় ই-বুকসমূহ, আইন ও বিধিমালার ই-বুকসমূহ, জাতীয় পরিচয় পত্র বিষয়ক প্রজ্ঞাপন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও পত্র, জাতীয় বেতন স্কেলসমূহ, বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার প্রজ্ঞাপন ও পত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি গুরূত্বপূর্ণ গেজেট, পরিপত্র ও পত্রাদি। এবার আসা যাক, আজকের পোষ্টের কথায়।
--------------------------------------------------
আরও দেখুন-
--------------------------------------------------

ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা, ২০১৮।

সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে “ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান” রাজস্ব বাজেটে পরিচালিত একটি অন্যতম কর্মসূচি। দারিদ্র, নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রতিবন্ধিতা, কিছু দুষ্ট চক্রের অর্থ লালসা, ভিক্ষাবৃত্তিতে অথোপার্জনে সহজলভ্যতা ইত্যাদি কারণে দেশের বড় শহরগুলোতে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শহরাঞ্চলের প্রধান প্রধান সড়ক, ফুটপাত, ট্রাফিক সিগন্যাল, সুপার মার্কেট, পার্ক, সরকারী অফিস, মসজিদ ও মাজারের সামনে জনাকীর্ণ স্থানে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ ও মহিলাদের ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। এদের মধ্যে একটা বড় সংখ্যা প্রতিবন্ধী, বয়স্ক এবং শিশু।
ভিক্ষাবৃত্তি কখনই সম্মানজনক জীবিকা বা পেশা হতে পারে না। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্বেও এক শ্রেণির জনগোষ্ঠী শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় বিভিন্ন উপলক্ষ্যে যেমন: রোজা, ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সামনে রেখে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে চলে আসে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ী থামলে ভিক্ষুকরা অনেক সময় যাত্রীদের বিব্রত করে এবং বিদেশী নাগরিকদের নানাভাবে উত্যক্ত করে। এ সকল বিষয়কে বিবেচনায় এনে ভিক্ষাবৃত্তিকে বন্ধ করতে হলে প্রথমেই ভিক্ষা প্রদানকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। কেননা সহজেই ভিক্ষা পাওয়া যায় বলে অনেকে এ কাজে উৎসাহিত।
ভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণের জন্য ভিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ অত্যন্ত জরুরি। সরকার ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনের লক্ষ্যে “ভিক্ষুক পুনর্বাসন এবং বিকল্প কর্মসংস্থান” শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভিক্ষুকদেরকে আর্থিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের কর্মসংস্থান ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
“ভিক্ষুকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে ঢাকা শহরের ২০০০ ভিক্ষুকের পুনর্বাসন এবং পর্যায়ক্রমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন” এই লক্ষ্য নির্ধারণ করে ২০১০ সালে প্রাথমিক ধারণাপত্র প্রণয়ন করা হয়। ধারণাপত্রের আলোকে কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা তৈরি করা হয়। প্রাথমিক ধারণাপত্রে জরিপ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম ২০০০ ভিক্ষুকের মধ্যে সীমাবদ্ধ। থাকলেও বাস্তবায়ন নীতিমালায় ঢাকা শহরের সকল ভিক্ষুককে জরিপের আওতায় এনে তা থেকে পাইলটিং পর্যায়ে ২০০০ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করার বিষয়টি সংযোজিত হয়। কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যায়ে ১০টি এনজিও নিয়োগ করে ঢাকা শহরের দশটি জোনে একই দিনে ১০,০০০ জন ভিক্ষুকের উপর জরিপ কার্য পরিচালনা করা হয় এবং জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ১০,০০০ ভিক্ষুকের ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়। ধারণাপত্রের আলোকে কর্মসূচির পাইলটিং পর্যায়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি পরিচালনার জন্য ভিক্ষুকের সংখ্যা বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও জামালপুর জেলাকে নির্বাচন করা হয় এবং প্রতিটি জেলায় ৫০০ জন করে মোট ২০০০ জনকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ঢাকা মহানগরীতে পরিচালিত জরিপের আওতাভুক্ত ভিক্ষুকদের মধ্য হতে ময়মনসিংহ জেলায় ৩৭ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১২ জনকে ১২টি রিকসা, ১৭ জনকে ১৭টি ভ্যান এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার পুজি বাবদ ৫,০০০/(পাচঁ হাজার) টাকা এবং বাকি ৮ জনের মধ্যে প্রতিজনকে ক্ষুদ্র ব্যবসার পুর্জি বাবদ ৫০০০(পাচঁ হাজার) টাকা করে প্রদানের মাধ্যমে পাইলটিং কর্মসূচির উদ্ধোধন করা হয়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার/শহর সমাজসেবা অফিসারগণকে উপকারভোগীদের কর্মকান্ড তদারকি ও এ বিষয়ে পাক্ষিক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রতিবেদন পর্যালােচনায় দেখা গেছে ময়মনসিংহ জেলার ৩৭ জনের মধ্যে মাত্র ১০ জন প্রদত্ত উপকরণ ব্যবহার করছে এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করছে। অবশিষ্টদের কেউ কেউ উপকরণ বিক্রি করে ঢাকায় চলে এসেছে আবার কয়েকজনকে নির্দিষ্ট ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ জেলায় পরিচালিত কর্মসূচির অভিজ্ঞতার আলোকে কর্মসূচির বাস্তবায়ন নীতিমালা পরিবর্তনপূর্বক জামালপুর জেলায় স্থানীয় ২৯ জন ভিক্ষুককে নিয়ে পাইলটিং এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। ২৯ জনের মধ্যে ১২ জনকে রিকসা এবং ১৭ জনকে ভ্যানসহ ক্ষুদ্র ব্যবসার পুজি হিসেবে ৫০০০ করে টাকা প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে জামালপুর জেলা হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় যে উপকারভোগীদের সকলেই উপকরণ ব্যবহার করছেন এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করছেন।





ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করা এবং ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিতদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ভিক্ষুককে তার নিজ নিজ এলাকায় স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে এ নীতিমালা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা, ২০১৮ দেখতে ও ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন

গেজেটের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের এ ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।




কোন মন্তব্য নেই

pollux থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.